Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 4:43 pm

সাড়ে ১২ কোটি টাকার ফ্লোর স্পেস কিনছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সেনা কল্যাণ বিজনেস মার্টের লেভেল-৯-এ ৬ হাজার ৯৯২ বর্গফুট জায়গা কিনছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। একইসঙ্গে কোম্পানিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তন হয়েছে বলে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে জানিয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক খরচ বাদে ১২ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ৬ হাজার ৯৯২ বর্গফুট জায়গা কেনার জন্য  কোম্পানিটির ম্যানেজমেন্ট সম্পত্তির ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। আর উল্লিখিত পরিমাণ ফ্লোর স্পেসের পাশাপাশি দুটি কার পার্কিং সুবিধাও পাবে কোম্পানিটি। আইপিও তহবিলের পাশাপাশি নিজস্ব ফান্ড থেকে অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কোম্পানিটি।

এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনায় ‘এন’ ক্যাটেগরির এই কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটেগরিতে গেছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে এই কোম্পানির শেয়ার ‘এ’ ক্যাটেগরির অধীনে লেনদেন শুরু হবে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের এ লভ্যাংশ দেয়ায় কোম্পানিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তন হচ্ছে।

এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সালে এনএভি ছিল ২৬ টাকা ৯৯ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৮৯ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৫ পয়সা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৫৩ পয়সা। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা।

বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০২১ সালে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।