নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাড়ে চার মাসের বেশি সময় কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা বেগমও সেখানে ছিলেন।
পরে রিজভী ও তার স্ত্রী তাদের মোহাম্মদপুরের বাসার উদ্দেশে রওনা হন বলে বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন জানান।
কারাগারের সহকারী জেলার মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘জামিনের নথিপত্র আসার পর উনাকে (রিজভী) মুক্তি দেয়া হয়েছে।’
২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে পুলিশ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে হাতবোমা উদ্ধারের কথা জানায়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রিজভীসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে।
রিজভীর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০টি মামলায় উনার জামিন হয়েছে। গত সাড়ে ৪ মাসে এসব মামলার জামিন নেয়া হয়। সর্বশেষ গোপালগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত একটি মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করে।’
রিজভীর মুক্তির সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরাফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, ঢাকা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবির, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের রাশেদুল হক কারাগারের সামনে উপস্থিত ছিলেন।