প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা শহরে গতকাল অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস। অভিযানের প্রথম দিনেই ১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাবে জেলার ৭ উপজেলায় ২৪০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত নিবন্ধন নবায়ন হয়েছে মাত্র ৭টির। আর অনলাইনে আবেদন করে নিবন্ধনের অপেক্ষায় আছে ১১৭টি এবং আবেদন করেনি অথবা করলেও ভিজিটের নির্দেশনা আসেনি ১২৩টি চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের। তবে সাতক্ষীরা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, এর সংখ্যা ৩০০-এর অধিক।
অভিযানের শুরুতেই সাতক্ষীরা শহরের আল আকসা হাসপাতালের নিবন্ধন না থাকায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালের নিবন্ধন না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও কার্যক্রম বন্ধ এবং বিসমিল্লাহ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় দুই হাজার টাকা জরিমানা ও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সোনালী ডায়াগনস্টিক সেন্টারও বন্ধ করে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার ও সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমারের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালিত হয়।
এ বিষয়ে ডা. জয়ন্ত কুমার বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়েছে। গতকাল রোববার অভিযান চালিয়ে ১০ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে ২৪০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে সিবি হাসপাতাল, কেয়ার ক্লিনিক, ডিজিটাল ল্যাবের তিনটি প্রতিষ্ঠান, কেয়ার ল্যাব ও শ্যামনগরের ডক্টরস ডোর এ সাতটি প্রতিষ্ঠানের চলতি বছর পর্যন্ত নিবন্ধন রয়েছে। বাকি সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো নিবন্ধন নবায়ন নেই। নিবন্ধন না থাকায় তারা এখন অবৈধ।