প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা : পাওনা ২০ হাজার টাকা আদায় করতে না পেরে সাতক্ষীরায় চা-বিক্রেতা ইয়াসিন আলীকে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার গড়েরকান্দা এলাকার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে সদর উপজেলার আলিপুর চাঁপারডাঙ্গা এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। আজ রোববার সকালে জাকির হোসেনকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা শহরতলির কামালনগর এলাকার ব্রিজের নিচের ডোবা থেকে নিহত ইয়াসিন আলীর মাথা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বুধবার সকালে ইয়াসিন আলীর মাথাবিহীন খণ্ডিত দেহ বকচরা এলাকার একটি ঘের থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ রোববার সকালে কামালনগর এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানান, সদর উপজেলা পরিষদের সামনের একটি চা-দোকানের মালিক ইয়াসিন আলীর সাথে জাকির হোসেনের বন্ধুত্ব ছিল। ব্যবসার কথা বলে ইয়াসিন জাকিরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা পরিশোধ না করায় জাকিরের সাথে গত সপ্তাহে ইয়াসিনের তুমুল ঝগড়া হয়। প্রতিশোধ নিতে ফন্দি আঁটেন জাকির। গোলযোগপূর্ণ জায়গায় স্থাপনা নির্মাণে রাজমিস্ত্রির কাজ করার কথা বলে মঙ্গলবার রাতে ইয়াসিনকে বাইপাস সংলগ্ন বকচরা মোড় এলাকায় নিয়ে গিয়ে গল্প করতে থাকেন। মধ্যরাতে আশেপাশে কেউ না থাকার সুযোগে ইয়াসিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখমের একপর্যায়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে দেহ পাশের একটি ঘেরে আর মাথা এক কিমি দূরে ব্রিজের নিচের ডোবায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে জাকিরকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা শহরতলির বাইপাস সড়ক সংলগ্ন ঘের থেকে বুধবার সকালে ইয়াসিন আলী নামের এক চা-বিক্রেতার মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং সদর উপজেলা পরিষদের সামনে চা বিক্রি করতেন। ওইদিন রাতে নিহতের স্ত্রী আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।