‘সাত’ কোম্পানির কারণে কমছে সূচক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২০ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। সূচকের এমন পতনের দিনে সর্বোচ্চ দায় ছিল মৌলভিত্তির সাত কোম্পানির। এই কোম্পানির দায়ে গতকাল ডিএসইর সূচক কমেছে ১৫ দশমিক ৩০ পয়েন্ট, যা মোট পতনের ৭৫ শতাংশ। এই সাত কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, ওয়ালটন হাইটেক, বেক্সিমকো লিমিটেড, লাফার্জহোলসিম ও আইসিবি লিমিটেড।

গতকাল ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সূচকের পতন হয়। ডিএসইর সূচক নামানোর ক্ষেত্রে কোম্পানিটির দায় ছিল ৫ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যে কারণে ডিএসইর সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৬১ টাকা ৩০ পয়সায়।

ডিএসইর সূচক পতনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কোম্পানি ছিল গ্রামীণফোন লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ। এতে ডিএসইর সূচক কমে ১ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০৬ টাকায়।

ডিএসইর সূচক কমানোর ক্ষেত্রে তৃতীয় কোম্পানি ছিল রবি আজিয়াটা লিমিডেট। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১ শতাংশ। এতে ডিএসইর সূচক কমে ১ দশমিক ৯১ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ টাকা ৮০ পয়সায়।

ডিএসইর সূচক কমানোর ক্ষেত্রে চতুর্থ কোম্পানি ছিল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ। এতে ডিএসইর সূচক কমেছে ১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৯৭ টাকা ৬০ পয়সায়।

ডিএসইর সূচক পতনে পঞ্চম কোম্পানি ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ০৪ শতাংশ। এতে ডিএসইর সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৫০ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩২ টাকা ৬০ পয়সায়।

ডিএসইর সূচক টেনে নামানোর ক্ষেত্রে ষষ্ঠ কোম্পানি ছিল লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ২২ শতাংশ। এতে ডিএসইর সূচক কমেছে ১দশমিক ২৭ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৩ টাকা ১০ পয়সায়।

ডিএসইর সূচক পতনে সপ্তম কোম্পানি ছিল আইসিবি লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১ দশমিক ০৮ শতাংশ। এতে ডিএসইর সূচক কমেছে ১ দশমিক ০৮ পয়েন্ট। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০০ টাকা ৫০ পয়সায়।

আগের কার্যদিবসের মতো গতকাল মঙ্গলবারও পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। সূচকের সঙ্গে বেশিরভাগ সিকিউরিটি ও টাকার পরিমাণে লেনদেনও কমেছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪৬৮ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ৬ দশমিক ০৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪১০ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৩৫০৭ দশমিক ৬ পয়েন্টে।

ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৭৩৯ কোটি ৩১ লাখ টাকার, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৩৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৯৭৪ কোটি ০৭ লাখ টাকার।

ডিএসইতে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৪টির বা ৩০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে। দর কমেছে ২২৮টির বা ৬০ শতাংশের এবং ৩৮টির বা ১০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত রয়েছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৬১ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৯৫৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। সিএসইতে হাত বদল হওয়া ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারদর বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ১৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দর। সিএসইতে ৩৫ কোটি আট লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০