প্রতিনিধি, জবি: জকসু নির্বাচন, বাসের ডাবল ট্রিপ চালুসহ সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে বৃষ্টিতে ভিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৩ শিক্ষার্থী এ অনশনে অংশ নেন। সারা দিন অনশনে বসে থাকলেও উপাচার্য, প্রক্টরসহ প্রশাসনের কেউ তাদের খোঁজ নেয়নি।
জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচির ডাক দেন। আমরণ অনশনে বসার পর কয়েক দফা বৃষ্টিতে ভিজে কর্মসূচি সফল করার জন্য বসে থাকে। এ সময় আন্দোলনরত তিন শিক্ষার্র্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে জানানো হলে, তিনি এ আন্দোলনকে সাংবাদিকরা উসকে দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ইতিপূর্বে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনের সময় উপাচার্য দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেননি। এখন সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার মুখের আশ্বাস আমরা বিশ্বাস করি না। সাত দফা বাস্তবায়নের লিখিত আশ্বাস দেওয়ার প্রস্তাব দিলে উপাচার্য তা নাকোচ করেছেন। এতে করে আমাদের দাবি আদায়ে প্রশাসন তালবাহার আশ্রয় নিয়েছেন। সাত দফা দাবি মেনে নেওয়ার সময়সীমা লিখিতভাবে না দেওয়া পর্যন্ত আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনশন ও আন্দোলন চালিয়ে যাব।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ক্যান্টিনের ভর্তুকি বাড়িয়ে খাবারের দাম কমাতে হবে ও মান উন্নয়ন করতে হবে, এক মাসের মধ্যে বাসের ডাবল শিফট চালু করতে হবে, আগামী চার মাসের মধ্যে জকসু নির্বাচন দিতে হবে, আগামী দুই মাসের মধ্যে ছাত্রী হলের কাজ শেষ করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে ও আবেদনের ক্ষেত্রে সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে হবে, জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ অবিলম্বে শুরু করতে হবে এবং গবেষণা খাতে শর্ত কমিয়ে বাজেট বাড়াতে হবে।
অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের আহ্বায়ক রাইসুল ইসলাম নয়ন, পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তৌসিফ মাহমুদ, ফার্মেসি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের আবু বকর প্রমুখ।
সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা
