শেয়ার বিজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম গতকাল সোমবার এক শতাংশ কমেছে। এতে গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ হয়েছে এই ধাতুর দাম। গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই ধাতুর দামে পতন অব্যাহত রয়েছে। খবর: রয়টার্স।
গতকাল সকালে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স এক হাজার ৮৩১ ডলার ৮১ সেন্ট হয়েছে, যা ১০ মার্চের পর সর্বনি¤œ। এছাড়া ইউএস গোল্ড ফিউচারসের দাম এক শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪৭ ডলার ৫০ সেন্টে।
এদিন মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলারের সূচক বৃদ্ধি পায় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। এ হিসাবে গত ১০ মাস ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রার তুলনায় সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া মার্কিন বন্ড আরও শক্তিশালী হয়েছে। এদিন ১০ বছরের মার্কিন বন্ডের সূচক শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে হয় ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে নি¤œমুখী প্রবণতা বেড়েছে বুলিয়ন বাজারে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের ক্রমাগত চাপ সোনা, রুপাসহ বিভিন্ন পণ্যের বাজারে প্রভাব ফেলেছে। ডলারের সূচকে পতন না হওয়া পর্যন্ত বুলিয়ন বাজারের নি¤œমুখী প্রবণতা থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত বিনিয়োগকারীরা বন্ডের বাজারের প্রতি আগ্রহী হন। স্বভাবতই পণ্যের বাজারে বাড়ে বিক্রির প্রবণতা। অনিশ্চয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই ধাতুটির দর পতনের সম্ভাবনাও বাড়ে।
কিনেসিস মানির বাজার বিশ্লেষক কারলো অ্যালাবার্টো ডি কাসা বলেন, স্বর্ণের দাম কমে যাওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেডের নীতি সুদহার জড়িত। তার মতে, ফেড দীর্ঘ মেয়াদে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ধারণা স্বর্ণের বাজারে আরও চাপ পড়ছে। দাম কমে এক হাজার ৮০০ ডলার হতে পারে।
গত মে মাসে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছিল দুই হাজার ডলার। এরপর এর দাম ১১ শতাংশের বেশি বা ২৩০ ডলার কমেছে।
অন্যান্য দামি ধাতুর মধ্যে স্পট রুপার দাম কমেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ছয় মাসের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিন্ম। প্রতি আউন্স রুপার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ ডলার ৫৬ সেন্টে।