নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানি সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
ডিএসই থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৪ লাখ ১৪ হাজার ৮০০ টাকার। আর সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট লেনদেন হয় ১২০ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার টাকার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর আট দশমিক ০৯ শতাংশ বা ১৮ টাকা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২১১ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫টি শেয়ার ৫ হাজার ৩২৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২০৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩২৮ টাকায় ওঠানামা করে।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৬১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ছিল ১০ টাকা ৬৩ পয়সা। এছাড়া ওই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছিল দুই টাকা ৬৪ পয়সা।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ২২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৭ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
দরপতনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে ছিল ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ। এছাড়া আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৭ দশমিক ১২ শতাংশ, মেঘনা পিইটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৭ দশমিক ১২ শতাংশ, আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ছয় দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।