নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ বা ১৩ টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৬৮ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর কোম্পানিটির ৭ হাজার ৬৩৮টি শেয়ার মোট ২০৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৬২ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৯০ টাকায় লেনদেন হলেও গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৫৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৩৪ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ টাকা ২৪ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ১৯ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭৪ টাকা ৭৭ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য সর্বমোট সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ টাকা ৪৭ পয়সা (লোকসান)। ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৭৯ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৩ টাকা ৫২ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটি ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩১ টাকা ৬৮ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ২৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৭৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২৫ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রিজার্ভে ঘাটতির পরিমাণ ৩৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৬৬ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার, সরকারি ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সাধারণ
বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৩ টাকা ৭০ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৭ টাকা ৭০ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় ১৬ টাকা বেড়েছে। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০৪ টাকা ১০ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৬ টাকা ০২ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় ৫৮ টাকা ৮ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫২ টাকা ২৯ পয়সা (লোকসান)। আর প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭৭ টাকা ৩৮ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৩৪ টাকা ৭০ পয়সা (ঘাটতি)।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল হামি ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৪ দশমিক ০১ শতাংশ, এরপরের অবস্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মাসিউটিউটিক্যালস লিমিটেডের ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ, এম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১০ দশমিক ১৭ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফ্ইান্যান্স লিমিটেডের ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, লিবরা ইনফিউশনস লিমিটেডের ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংকব পিএলসির ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।