নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ০২ শতাংশ বা ২০ টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ এক হাজার ৯ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩৪ হাজার ৯৪০টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৩৩২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত এক বছরের মধ্যে লিন্ডে বাংলাদেশের শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৮৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটি চলতি বছরের ০১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে অন্তর্বর্তীকালীন চার হাজার ১০০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ৪১০ টাকা হারে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ৩১ জুলাই ২০২৪ শেষে তাদের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪১৫ টাকা ৮ পয়সা এবং উল্লিখিত তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৩২ টাকা ৩৫ পয়সা এবং আলোচিত এই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ১৯ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেনি। এর আগে ঘোষিত ১ হাজার ৫৪০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশই কোম্পানিটির চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ পর্যন্ত নিরীক্ষিত অন্তর্বর্তীকালীন আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি। আলোচ্য বছরে কোম্পানিটির মুনাফা কমেছে ৭৪ দশমিক ১২ শতাংশ। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৫ টাকা ২ পয়সা। আগের বছরে যা ছিল ৫৮ টাকা ৪ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ৩৭১ টাকা ২৭ পয়সা। এর আগে ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করে লিন্ডে বাংলাদেশের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৮ টাকা ৪ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৮০ টাকা ৫৫ পয়সায়। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে প্রায় ২৮ শতাংশ।
লিন্ডে বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ অক্সিজেন কোম্পানি নামে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৫৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ২৮০। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৯ দশমিক ৩০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল কাট্টালী টেক্সটাইল লিমিটেড, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ, এরপরের অবস্থানে থাকা মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ইন্দো বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের ১৭ দশমিক ১২ শতাংশ এবং ফরচুন শুজ লিমিটেডের ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।