নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি মেঘনা পিইটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ।
সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ১ টাকা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২২ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ৫৪ হাজার ৫৯০টি শেয়ার মোট ২১৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২২ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২২ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটি তাদের পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা দিয়েছে। জানা গেছে, আগামী ৩০ অক্টোবর বেলা ৩টায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আর এই সভায় ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান অপরিবর্তীত রয়েছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৭ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান ১ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩২ পয়সা (লোকসান), যা ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৫ টাকা ২ পয়সা (লোকসান)। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি কোন নগদ অর্থপ্রবাহ হয়নি।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি কোন লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগের বছরেও কোন লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ৫ টাকা ১৫ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি কোন লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগের বছরেও কোন লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ৪ টাকা ৫৪ পয়সা (লোকসান)। যা তার আগের বছরের একই সময় ছিল যথাক্রমে ৩০ পয়সা (লোকসান) এবং ৪ টাকা ২২ পয়সা (লোকসান)।
কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে জেড ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৪৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৫০ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল পিএলসি, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ, এরপরের অবস্থানে থাকা রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টস লিমিটেডের ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।