নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক দরপতনের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে বি ক্যাটেগরির আজিজ পাইপস। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহে ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ দর কমে পতনের শীর্ষে উঠে আসে প্রকৌশল খাতের বি ক্যাটেগরির আজিজ পাইপস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় এক কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৪২ লাখ ১৪ হাজার ৭৫০ টাকার। সপ্তাহের শেষদিনে আজিজ পাইপসের শেয়ারদর তিন দশমিক ৫০ শতাংশ বা তিন টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে সর্বশেষ লেনদেন হয় ১১২ টাকা ৩০ পয়সায়। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি সাত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়ে বি ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ওই বছর কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল ৮০ পয়সা। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা। বি ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের সোনালী আঁশ। গত সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির এক কোটি ৪০ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৩৫ লাখ পাঁচ হাজার টাকার।
দরপতনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে আসে যমুনা অয়েল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহজুড়ে তিন কোটি ২৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৮২ লাখ নয় হাজার ৫০০ টাকার।
১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ কমে তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে উঠে আসে রিং শাইন টেক্সটাইল। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৫৬ লাখ দুই হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ছয় কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার। এরপরে পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়ে ১০ শতাংশ দর কমেছে। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় দুই কোটি ৬৫ লাখ আট হাজার টাকার। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ১০ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার টাকার। তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে উঠে আসে পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। দর কমেছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১০ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৫৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার। দরপতনে সপ্তম অবস্থানে ছিল ফ্যামিলি টেক্স (বিডি) লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ৮৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ২১ লাখ ৯ হাজার টাকার। অষ্টম অবস্থানে থাকা এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের দর ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় চার কোটি ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার।