সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে এ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক দরপতনের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে জেড ক্যাটেগরির এ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ১০ শতাংশ দর কমে পতনের শীর্ষে উঠে আসে প্রকৌশল খাতের জেড ক্যাটেগরির এ্যাপোলো ইস্পাত লিমিটেড। সপ্তাহেজুড়ে লেনদেন হয় এক কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ২৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার। ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৭৮ শতাংশ বা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ তিন টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল তিন টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯ লাখ ২৯ হাজার ৭২৭টি শেয়ার মোট ২৪২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩২ লাখ ৬১ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ তিন টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ তিন টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর তিন টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০১ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৬৫ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির ৪০ কোটি ১৩ লাখ আট হাজার ৬০০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২২ দশমিক ৩২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং বাকি ৫৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।

দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল পাট খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। গত সপ্তাহে আট দশমিক ৯০ শতাংশ দর কমেছে। সপ্তাহেজুড়ে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় তিন কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার। ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৩৯ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৭০৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭০৪ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৬ হাজার ৭০টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৮৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ২৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৩২ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪৮৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৬৮০ টাকা ২০ পয়সা মধ্যে ওঠানামা করে। ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ টাকা ২৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা ৩৩ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ কোটি ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানির ২১ লাখ ৪২ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, বাকি ৭৮ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।

দরপতনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। গত সপ্তাহে সাত দশমিক ৬০ শতাংশ দর কমেছে। সপ্তাহেজুড়ে লেনদেন হয় ৩০ কোটি ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় সাত কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকার। ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ বা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৩ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫২ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৪ লাখ ২৮ হাজার ২৩৭টি শেয়ার মোট এক হাজার ৬১৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১২ কোটি ৭০ লাখ ৪১ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৯০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৪৭ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২৩৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯০৬ কোটি ২৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। কোম্পানির ১২৩ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৭টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৪৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক সাত দশমিক শূন্য সাত শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং বাকি পাঁচ দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।

সাত দশমিক ২৯ শতাংশ দর কমে চতুর্থ স্থানে উঠে আসে বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহেজুড়ে লেনদেন হয় দুই কোটি ৮৩ লাখ ১৯ হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫০ টাকার। ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ৫৬ শতাংশ বা এক টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩১ টাকা ৪০ পয়সা হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩১ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে দুই লাখ ২৯ হাজার ৫৯১টি শেয়ার মোট ২১৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩১ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০