সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক দরপতনের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে ‘এ’ ক্যাটেগরির সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ১৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ দর কমে পতনের শীর্ষে উঠে আসে বিবিধ খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ১৯ কোটি ২৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় তিন কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকার।

ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৮৮ শতাংশ বা এক টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬৬ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে চার লাখ ১৩ হাজার ৬৮৮টি শেয়ার মোট এক হাজার ২৫৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৭৯ লাখ তিন হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৯ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৮৭ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। কোম্পানিটি ১৯৯৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৩ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির এক কোটি ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার ৬০০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১২ দশমিক শূন্য আট শতাংশ এবং বাকি ৫৭ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।

দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। গত সপ্তাহে ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ দর কমে পাট খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ২২ কোটি ৮৪ লাখ দুই হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় চার কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ টাকার।

ডিএসইতে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর সাত দশমিক ৫০ শতাংশ বা ৪৬ টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৭৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ৫৩ হাজার ৪১৭টি শেয়ার মোট ৮৩৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৭৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬২০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪৮৯ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৫৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মধ্যে ওঠানামা করে। ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ টাকা ২৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা ৩৩ পয়সা। কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ কোটি ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানির ২১ লাখ ৪২ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, বাকি ৭৮ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।

দরপতনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। গত সপ্তাহে ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ দর কমে বিমা খাতের ‘জেড’ ক্যাটেগরির প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ৭২ লাখ ৬২ হাজার টাকার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০