Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 1:46 am

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে নর্দার্ণ জুট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। গেল সপ্তাহে কোম্পানিটির দর কমেছে ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির প্রায় ছয় কোটি ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। পুরো সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ১২ শতাংশ বা ১৭ টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪১৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪১৪ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ছয় হাজার ২৮টি শেয়ার মোট তিন হাজার ২৮৪ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর চার কোটি ৪০ লাখ ৫৬ টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৩৩ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪০০ টাকা ১০ পয়সা থেকে এক হাজার ৪৮৯ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৩ টাকা ২৯ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা ৩৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২২ টাকা ৬৬ পয়সা লোকসান। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি লোকসান করে ১৭ টাকা ১৫ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৫৭ টাকা চার পয়সা। ওই সময় মোট লোকসান করে তিন কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগিরিতে অবস্থান করছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ কোটি ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ২১ লাখ ৪২ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৮ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

দরপতনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এসএস স্টিল লিমিটেড। কোম্পানিটির দর কমেছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির তিন কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। পুরো সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বা এক টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৬ টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির চার কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ২৮ লাখ ২৬ হাজার ৫০৮টি শেয়ার মোট এক হাজার ৬১২ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৬ টাকা থেকে ৫৫ টাকায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত  হিসাব বছরের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৩ পয়সা।

এদিকে প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৭৯ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ৩২ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ৪৭ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১১ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে তারিখে ছিল ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৩২ পয়সা।

প্রকৌশল খাতের ‘এন’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ২৮ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল স্টাইলক্রাফট লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির প্রায় এক কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। পুরো সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির আট কোটি ১৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৯৭ শতাংশ বা তিন টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৮৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৮২ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ৮৯ হাজার ৯৫৩টি শেয়ার এক হাজার ৮৯৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২২১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৪২ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৭৯ টাকা থেকে ৯৫০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত  হিসাববছরের জন্য ১৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৭৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা সাত পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৪৮ পয়সা।