সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে উঠে আসে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে বি ক্যাটেগরির কোম্পানিটির দর ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে।  ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সপ্তাহজুড়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয় চার কোটি ৯২ লাখ ৫৭ হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৯৮ লাখ ৫১ হাজার ৪০০ টাকার। সপ্তাহের শেষদিনে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শেয়ারদর আট দশমিক ১১ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে সর্বশেষ লেনদেন হয় তিন টাকা ৪০ পয়সায়। লেনদেন শেষে সর্বশেষ দর দাঁড়ায় তিন টাকা ৪০ পয়সা।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে শূন্য দুই পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে হয়েছিল শূন্য সাত পয়সা। অর্থাৎ তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে শূন্য পাঁচ পয়সা। এছাড়া (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ১৯) ৯ মাসে ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে হয়েছিল ৫৭ পয়সা। অর্থাৎ ৯ মাসে ইপিএস কমেছে ৪৬ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮৩ পয়সা, যা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত ছিল ১২ টাকা ৭২ পয়সা।

কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ সমাপ্ত বছরে পাঁচ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে। ওই বছর কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল ৫৩ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৩ টাকা ৩৬ পয়সা ও ওই বছর মুনাফা হয়েছিল ১১ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ব্যাংকের রিজার্ভে আছে ৬০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২২ কোটি ১৮ লাখ ২৪৭টি। মোট শেয়ারের ৪১ দশমিক ৫৪ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক,  দশমিক শূন্য সাত শতাংশ বিদেশি এবং বাকি ৩১ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ জনগণের হাতে।

দরপতনের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল বি ক্যাটেগরির ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। গত সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির চার কোটি ৯২ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৯৮ লাখ ৫১ হাজার ৪০০ টাকার। 

তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে আসে রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে বি ক্যাটেগরির কোম্পানিটির শেয়ারদর ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহজুড়ে ২২ কোটি ৯৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় চার কোটি ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকার।

১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে উঠে আসে এ ক্যাটেগরির রানার অটোমোবাইল লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ছয় কোটি ২২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় এক কোটি ২৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার।

এরপরে পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে এমারাল্ড অয়েল। জেড ক্যাটেগরির কোম্পানিটির দর ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ দর কমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ১১ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ টাকার। তালিকায় সপ্তম অবস্থানে উঠে আসে এ ক্যাটেগরির আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেড। দর কমেছে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দুই কোটি ৩৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৪৭ লাখ ছয় হাজার ৪০০ টাকার শেয়ার। দরপতনে অস্টম অবস্থানে ছিল বি ক্যাটেগরির ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয় তিন কোটি ৬২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার। গড়ে প্রতিদিন লেনদেন হয় ৭২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার। নবম অবস্থানে থাকা এ ক্যাটেগরির এমএল ডায়িংয়ের দর ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয় ১৮ কোটি ১১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০