নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড গত সপ্তাহে দর কমার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে তিন কোটি ৯১ লাখ ৫৩ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর আট দশমিক ৩৯ শতাংশ বা এক টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৭ লাখ ৬১ হাজার ৪৪৭টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫২৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৭৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ছয় টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৭ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৫৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৭৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা পাঁচ পয়সা ও ১৬ টাকা ৭৮ পয়সা।
আর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাতের সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৯ দশমিক শূন্য আট শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ২০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে আট কোটি ২৪ লাখ ১১ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর পাঁচ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা এক টাকা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৬ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৬০৬টি শেয়ার মোট ৬৮৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৮ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ২৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৫৫ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে।
বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯০ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২২৯ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৯ কোটি পাঁচ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৪৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে মাইনাস ৯৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৩৭ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছর ছিল ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল এক দশমিক ২১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ২৬ টাকা ৯৮ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা শূন্য দুই পয়সা ও ২৬ টাকা ৯৪ পয়সা।
তৃতীয় স্থানে অবস্থানে বিমা খাতের প্রগ্রেসিফ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে দুই কোটি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ৫৮ শতাংশ বা পাঁচ টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১১৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১১৪ টাকা। দিনজুড়ে ৫১ হাজার ৩৬০টি শেয়ার মোট ৩০৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১২ টাকা ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৬৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৫৮ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। এরপর স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ১৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।