নিজস্ব প্রতিবেদক: আমান ফিড লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর কমার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে চার কোটি ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৬২ লাখ ৩৩ হাজার টাকার শেয়ার।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছয় দশমিক ৫৫ শতাংশ বা এক টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ২৭ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৮টি শেয়ার এক হাজার ৪৯৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৩৬ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেবে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৭১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৪৬ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই সময় ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৭৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয়েছে ৩২ টাকা ৫৪ পয়সা। ওই সময় মুনাফা হয়েছে ৪৭ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২৭ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৩৬ কোটি ছয় লাখ টাকা।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৭৬ হাজার শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক শূন্য দুই শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার।
দর কমার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল এস্কোয়্যার নিট কম্পোজিট লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ৬৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি ৬৩ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার।
তৃতীয় স্থানে অবস্থানে ছিল কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে তিন কোটি ৬৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।