নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে ওঠে এসেছে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড। আলোচিত সময়ে ফান্ডটির ইউনিট দর কমেছে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
গতকাল ডিএসইতে ফান্ডটির ইউনিটদর ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি ইউনিট সর্বশেষ ১৫ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল একই। দিনজুড়ে ইউনিট দর ১৫ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন ১২ লাখ ৬৩ হাজার ১১টি ইউনিট মোট ৩৪২ বার হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে ফান্ডটির ইউনিট দর সর্বনি¤œ ৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৮ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। ফান্ডটি ২০২৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ইউনিট দর পরিশোধিত মূলধন ১৫৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ফান্ডটির মোট ১৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট ইউনিটের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ২৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ,
সর্বশেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ বা ৫ টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৮৭ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারটির দর সর্বনি¤œ ১৮৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৯৩ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন কোম্পানিটির ৩ লাখ ১৭ হাজার ২১৭টি শেয়ার ১ হাজার ৯০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর ২৫৩ টাকা ৫০ পয়সা ও সর্বনি¤œ ৯১ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে সম্প্রতি ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এর মধ্যে ১৩ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। এর আগে ২০১৯ হিসাববছরে কোম্পানিটি মোট ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১২ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। এর আগে ২০১৯ হিসাববছরে কোম্পানিটি মোট ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১২ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। বিমা খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। তাদের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
এছাড়া এর পরের অবস্থানে থাকা যথাক্রমে এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেডের ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের ৪ দশমিক ৩৫, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ৪ দশমিক ০৮, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ৩ দশমিক ৮১ এবং জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।