নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে ওঠে এসেছে আইবিবিএল মুদারাবা পারপিচুয়াল ফান্ড। আলোচিত সময়ে ফান্ডটির ইউনিট দর কমেছে ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
গতকাল ডিএসইতে ফান্ডটির ইউনিটদর ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা ২২ টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি ইউনিট সর্বশেষ ৭৩৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল একই। দিনজুড়ে ইউনিট দর ৭৩৫ টাকায় হাতবদল হয়। ওই দিন ১১৩টি ইউনিট মোট সাতবার হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে ফান্ডটির ইউনিট দর সর্বনিম্ন ৬৭০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৩ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
ফান্ডটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ফান্ডটির পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। ফান্ডটির মোট ৩০ লাখ ইউনিট রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট ইউনিটের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮৭ দশমিক ১৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ইউনিলিভার কনজুুমার কেয়ার লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ, সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ বা ১১ টাকা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২ হাজার ৫৬০ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২৮ হাজার ৮৪৯টি শেয়ার মোট ৩৯২ বার হাতবদল হয়। যার বাজার দর ছিল ৭ কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ হাজার ৪৯৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২ হাজার ৬৪০ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১ হাজার ৮০১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৫০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। ১৯৭৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৯ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪০ শতাংশ নগদ এবং ৬০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ টাকা ৬৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩৯ টাকা ৬০ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩০ টাকা ১১ পয়সা।
এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১২২ টাকা ৯০ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫১ টাকা ৬৫ পয়সা।
এছাড়া এর পরের অবস্থানে থাকা যথাক্রমে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯ দশমিক ২২ শতাংশ, তুং হাই নিটিং লিমিটেডের ৮ দশমিক ৭০, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৮ দশমিক ২৯, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের ৭ দশমিক ১৮, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৬ দশমিক ৮৮, লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের ৬ দশমিক ৭১, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।