নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৬ শেয়ার ৯০ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১ দশমিক ০৫ শতাংশ বেড়েছে।
প্রকৌশল খাতের এই কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৫০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি ২০২৩-২৪ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৯ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১২ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান আগের বছরের তুলনায় ৭ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৬৬ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৮ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২৪ পয়সা (ঘাটতি)। এদিকে ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৮৪ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫৯ পয়সা।
ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৬৬ লাখ ৩৪ হাজার ২৩৪ শেয়ার ৭০ কোটি ৩৮ লাখ ১০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়েছে।
বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করা কোম্পানিটির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানির ১২ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৫ দশমিক ০৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার।
২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য উদ্যোক্তা ও পরিচালক ছাড়া শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৩৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২২ তাদের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৭৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা।