সাপ্তাহিক লেনদেনের চার শতাংশই-জেনারেশনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ই-জেনারেশন লিমিটেড গত সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৩০ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বা ৩ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫১ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন ৬১ লাখ ৬৯ হাজার ৪১৯টি শেয়ার মোট ৫ হাজার ৩২৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৪৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৫২ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৫৩ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তালিকাভুক্ত ই-জেনারেশন। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪১ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২২ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ২১ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ১ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ১০ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৬১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১১ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪৫ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৫০ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪১ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৫ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট সাত কোটি ৫০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৩৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৭ দশমিক ২১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং ৩০ দশমিক ৮৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০