সাপ্তাহিক লেনদেনের ছয় দশমিক ৫৫ শতাংশ লাফার্জহোলসিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দুই কোটি ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩০৩টি শেয়ার ৮৬ কোটি ৫৬ লাখ ৫১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ৫৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর চার দশমিক ৪৪ শতাংশ কমেছে।

সবশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারদর দুই দশমিক ৫২ শতাংশ বা এক টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৮ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ২৯ লাখ এক হাজার ৭৭৩টি শেয়ার মোট দুই হাজার ১৭৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪০ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৮ টাকায় ওঠানামা করে।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪১ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি ইপিএস করেছে ৬৯ পয়সা ও এনএভি ১৩ টাকা ১৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯২ পয়সা ও ১৩ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৮০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আর লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল এডিডএন টেলিকম লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৩২ লাখ ৯৫ হাজার ১৯৬টি শেয়ার ৫৫ কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ২৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২২ দশমিক ৭২ শতাংশ কমেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বা চার টাকা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়।

সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এডিএন টেলিকম লিমিটেড। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে করপরবর্তী মুনাফা করেছে দুই কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬৩ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে দুই কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ৪৮ পয়সা। তবে আইপিও পূর্ববর্তী হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৭ পয়সা। আর আইপিও পরবর্তী হিসাব অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮৫ পয়সা।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২৯ লাখ ৬০ হাজার ৯৮৩টি শেয়ার ৫০ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৫৭ শতাংশ।

সর্বশেষ কার্যদিবেস ডিএসইতে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারদর ছয় দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ১১ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৭৮ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে ১২ লাখ ২৩ হাজার ৮৮টি শেয়ার মোট চার হাজার ২৬৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২১ কোটি ৩২ লাখ সাত হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৬৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৮০ টাকায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৬১ টাকা থেকে ২৭৭ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪২ শতাংশ নগদ ও সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা তিন পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা তিন পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৫ টাকা ৭১ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে চার টাকা ২৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল চার টাকা দুই পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ২৩ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৯০ টাকা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৮৬ টাকা তিন পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ১৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল চার টাকা ছয় পয়সা।

১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪৪ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০