সাপ্তাহিক লেনদেনের ছয় শতাংশ এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ ছিল এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৮ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮২টি শেয়ার ৭ হাজার ৩৮০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০২৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এন’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১২ কোটি ২৩ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪০ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশই ছিল সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ বা এক টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৯ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৮০ লাখ ৫১ হাজার ৮৯৭টি শেয়ার ৫ হাজার ৪৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার।

২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক পয়সা (লোকসান)। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেও কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৬ টাকা ৫৩ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০