সাপ্তাহিক লেনদেনের তিন দশমিক ৫৬ শতাংশ জেএমআই সিরিঞ্জের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১১ লাখ ৮৪ হাজার ২১৬টি শেয়ার ৬০ কোটি ৭৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৫৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ছয় দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহের শেষদিনে কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৫১৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫২০ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির চার লাখ ১৭ হাজার ৫২৫টি শেয়ার মোট চার হাজার ৭১৯ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ২১ কোটি ৫৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫০৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫২৫ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৫২৯ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ১০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ২১ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক দুই দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ছয় টাকা ৮৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭১ টাকা ২৭ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ছয় টাকা ৭৮ পয়সা ও ৬৭ টাকা ৬৪ পয়সা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৭৫ দশমিক ৯২ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৭৯ দশমিক ৫৫।
আর লেনদেনে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৬৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯টি শেয়ার ১০১ কোটি ৭২ লাখ ৯৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক তিন শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৩০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহের শেষদিনে কোম্পানিটির কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বা ১৫ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৬৭ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার মোট মূল্য ছিল ২০ কোটি ২০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ১৬৭ টাকা ৯০ পয়সায়। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৫৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৬৭ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১৬৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।
‘এ’ ক্যাটেগরির ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা পাঁচ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯৩ টাকা ৬২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৮৬ পয়সা লোকসান ও ২১৫ টাকা ২০ পয়সা। আর ২০১৮ সালে লোকসান করেছে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা তার আগের বছর একই সময় লোকসান ছিল সাত কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫২৫ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ১৮৫টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, সরকারি ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২০ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং ২৮ দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। কোম্পানিটির দুই কোটি ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪৩টি শেয়ার ৫৯ কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৫১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৪১ শতাংশ বা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৮ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৮ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ২৯০টি শেয়ার মোট এক হাজার ৩৫৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১২ কোটি ২৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৯ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৬ টাকা থেকে ২৯ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ছয় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯৯ পয়সা।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময়ে ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা ও এনএভি ১২ টাকা ৯৫ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০