Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 12:00 pm

সাপ্তাহিক লেনদেনের তিন দশমিক ৩৩ শতাংশ খুলনা পাওয়ারের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৭৭ লাখ ৫১ হাজার ৩০৩টি শেয়ার ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৩৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর অপরিবর্তিত ছিল।

সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৫ টাকায় হাতবদল হয়। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। 

এদিকে সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ারের ৩৫ শতাংশ সাধারণ শেয়ার অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। গত ২১ আগস্ট ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্টের উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। আর পটুয়াখালীতে অবস্থিত পায়রা

পাওয়ার প্লান্টের ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটেগরির খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬০৪ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৮০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৫০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ২০ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ৪২ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৬ টাকা ৩১ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুন ছিল ২৫ টাকা ২০ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯২ পয়সা।

আর লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১৬ লাখ ২১ হাজার ৫৪৯টি শেয়ার ২৯ কোটি ৮২ লাখ ৭৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৭৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে।

সম্প্রতি গত ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টসে পাঠিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

তথ্যমতে, ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪২ শতাংশ নগদ ও সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা তিন পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা তিন পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৫ টাকা ৭১ পয়সা।

গতকাল ডিএসইতে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারদর দুই শতাংশ বা তিন টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৮৬ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৮৬ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ ৭৯ হাজার ৮৬০টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫১৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর সাত কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৮৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১৯০ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৮৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৭৭ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।

১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪৪ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৭৪৪ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর ১৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল রিং শাইন টেক্সটাইলস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দুই কোটি ৩৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৩টি শেয়ার ২৬ কোটি ৫৬ লাখ দুই হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৪৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ কমেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ৯০ পয়সা। ওইদিন ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ৬৭০টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৯৪১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে।