নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির এক কোটি ৫২ লাখ ২৭ হাজার ৫৬৬টি শেয়ার ১৭৯ কোটি ৬২ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৯৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর চার দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক শূন্য দুই শতাংশ বা এক টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১১৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১১৯ টাকা ২০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১১৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৩৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৯৭টি শেয়ার মোট তিন হাজার ১৩ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৪৫ কোটি ১৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৫২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১২৭ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ২৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৪০ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ৩৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৯৬ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা তার আগের বছরের সমান। ২০১৮ সালে কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল ছয় টাকা ২৫ পয়সা আর এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ টাকা ৪৯ পয়সা ও ৬১ টাকা ৮২ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ছয় কোটি ৫৩ লাখ এক হাজার ৭১২টি শেয়ার ১৬৩ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৫৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর সাত দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। এরপরের অবস্থানে ছিল সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির তিন কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৫৭৭টি শেয়ার ১২৫ কোটি ৬৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৭৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর আট দশমিক শূন্য চার শতাংশ বেড়েছে।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকা প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে এক কোটি ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৩০৭টি শেয়ার ১১২ কোটি ৩৫ লাখ ছয় হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৪৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়েছে। আর এরপরের অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে দুই কোটি ৩০ লাখ ৫৪ হাজার ১১৩টি শেয়ার ৯৫ কোটি ১৫ লাখ ২৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ কমেছে। এরপরের অবস্থানে ছিল নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে এক কোটি ১৯ লাখ ৯ হাজার ৬৮টি শেয়ার ৮৪ কোটি ১৬ লাখ ৯১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের এক দশমিক ৮৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর সাত দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়েছে।