Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 3:51 am

সাপ্তাহিক লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি আট লাখ ১১ হাজার ১৯৯টি শেয়ার ৮০ কোটি ৫৪ লাখ ১৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৩৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর দুই দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৮০ শতাংশ বা দুই টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭৪ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭৭ টাকায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯১টি শেয়ার মোট এক হাজার ৯৯১ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ১৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৫২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৮৬ টাকায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ২৬ কোটি ৫১ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৪০ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ৩৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ৯ দশমিক ৯৩ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে আট দশমিক ৬০।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৯৬ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা তার আগের বছরের সমান। ২০১৮ সালে কোম্পানির ইপিএস হয়েছিল ছয় টাকা ২৫ পয়সা আর এনএভি দাঁড়িয়েছিল ৬৬ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে পাঁচ টাকা ৪৯ পয়সা ও ৬১ টাকা ৮২ পয়সা।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ৪১৩টি শেয়ার ৬০ কোটি ৭৮ লাখ ২৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ বা এক টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭৭ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৭৬ টাকা ৬০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৭৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৭৮ টাকায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬৫০টি শেয়ার মোট এক হাজার ৬২০ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ছয় কোটি ৯ লাখ ২৯ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৫৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৬৫ টাকায় ওঠানামা করে।