নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ফরচুন শুজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ১৬০টি শেয়ার ৭৩ কোটি ৩৪ লাখ ১৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর এক দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের শেষদিনে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৩৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন কোম্পানিটির ১৭ কোটি ১১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। আর দিনজুড়ে ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৯৫৪টি শেয়ার মোট এক হাজার ৯৬৪ বার হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪০ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৫ টাকা ৫৯ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২০ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
এর আগে ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা এবং এনএভি ১৫ টাকা ২৪ পয়সা। এটি তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৫৫ পয়সা ও ১৪ টাকা ২৯ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২৪ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৪ কোটি ৪০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ১২ কোটি ৪৯ লাখ ৩৬ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
লেনদেনে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৫২৭টি শেয়ার ৬৭ কোটি ৩১ লাখ ৫৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৬১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর সাত দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহের শেষদিনে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার মোট মূল্য ছিল ৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সায়। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিন্ম ৫৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৭ টাকা ৪০ পয়সায় হাত বদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৫৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা ৪০ পয়সায় ওঠানামা করে। ‘এ’ ক্যাটেগরির ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির দুই হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ২১৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন লিমিটেড। কোম্পানিটির ৭৭ লাখ ৯ হাজার ৯৭২টি শেয়ার ৩৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৭০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর চার দশমিক ১৬ শতাংশ কমেছে।
আর চতুর্থ অবস্থানে ছিল পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির ৬০ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪০টি শেয়ার ৩৯ কোটি ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৬৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর তিন দশমিক দুই শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহের শেষদিনে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৮৫ শতাংশ বা এক টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬১ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার মোট মূল্য ছিল ৯ কোটি ৩৮ লাখ এক হাজার টাকা। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ১০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৪ টাকায় হাত বদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৪৫ টাকা থেকে ৬৮ টাকায় ওঠানামা করে।
‘এ’ ক্যাটেগরির পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৬০ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৮৭ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৪৬ কোটি ৯ লাখ ১২ হাজার ৯৯১টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৭৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ এবং চার দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
পঞ্চম অবস্থানে থাকা ওইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেডের ৮৫ লাখ দুই হাজার ৬৪১টি শেয়ার ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর তিন দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়েছে। ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৩১টি শেয়ার ২৯ কোটি ৮৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়। এসকোয়্যার নিট কম্পোজিট লিমিটেডের ৬১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৫টি শেয়ার ২৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০৩টি শেয়ার ২৯ কোটি ৫৪ লাখ আট হাজার টাকায় লেনদেন হয়।

Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 10:52 am
সাপ্তাহিক লেনদেনের পাঁচ শতাংশ ফরচুন শুজের
পত্রিকা ♦ প্রকাশ: