সাপ্তাহিক লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৭৭ শতাংশ লাফার্জহোলসিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির দুই কোটি ৩১ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৪টি শেয়ার ৯০ কোটি ৯৫ লাখ ২৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।

সবশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারদর ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ২ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪০ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৩৮৪টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৩১১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৯ কোটি ৩১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৪০ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৮ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪১ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি ইপিএস করেছে ৬৯ পয়সা ও এনএভি ১৩ টাকা ১৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯২ পয়সা ও ১৩ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৮০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আর লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯০টি শেয়ার ৭৮ কোটি ৪৯ লাখ আট হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বা ৪ টাকা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৩ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৭০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৩ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে। 

‘এ’ ক্যাটেগরির খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬০৪ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৮০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৫০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ২০ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ৪২ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৬ টাকা ৩১ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৫ টাকা ২০ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯২ পয়সা।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল এডিএন টেলিকম লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৭৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮০টি শেয়ার ৭৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হওয়া কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা দুই টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ১০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০