সাপ্তাহিক লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৮৮ শতাংশ লাফার্জহোলসিমের

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির তিন কোটি ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ১২১টি শেয়ার ১৩৩ কোটি ৩২ লাখ ৩১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়েছে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৪ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯৯টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৮১৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৪৫ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৪১ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটি ইপিএস করেছে ৬৯ পয়সা ও এনএভি ১৩ টাকা ১৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯২ পয়সা ও ১৩ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৮০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ২২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯৬ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আর লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫৩ লাখ ৪৩ হাজার ৮৭০টি শেয়ার ১০৪ কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৬২ শতাংশ।

সর্বশেষ কার্যদিবেস ডিএসইতে ডিএসইতে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারদর শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯৮ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪০৪টি শেয়ার মোট তিন হাজার ২৭৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৯ কোটি ২৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৯৮ টাকা থেকে ২০২ টাকায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৬১ টাকা থেকে ২৭৭ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪২ শতাংশ নগদ ও সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা তিন পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা তিন পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৫ টাকা ৭১ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে চার টাকা ২৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল চার টাকা দুই পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ২৩ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৯০ টাকা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ৮৬ টাকা তিন পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ১৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল চার টাকা ছয় পয়সা।

১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪৪ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৭৪৪ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১০ দশমিক ২৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর ১৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল এসএস স্টিল লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির চার কোটি ৯০ লাখ ৯৫ হাজার ২৯২টি শেয়ার ৬৭ কোটি ৯১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন শতাংশ।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৫০ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ১২ কোটি ৫৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৯৪ লাখ ১৮ হাজার ৫২০টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৮২৬ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৫০ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে দুই টাকা ২১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৩ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০