Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 10:51 pm

সাপ্তাহিক লেনদেনের পাঁচ শতাংশ মুন্নু সিরামিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সিরামিক খাতের কোম্পানি মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ছয় লাখ ৪২ হাজার ৯৮৬টি শেয়ার ১২১ কোটি ১৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক তিন শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৫০ শতাংশ বা দুই টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১১৪ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১১৪ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১১৫ টাকায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে এক লাখ ৬০ হাজার ৬৯১টি শেয়ার মোট ৯৯৬ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর এক কোটি ৮২ লাখ ২৬ হাজার টাকা। আর গত এক বছরে শেয়ারদর ৯৯ টাকা থেকে ৪৩৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৬৫ টাকা ৪৬ পয়সা।

এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ১১ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ৯১ টাকা ৪৬ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৭৯ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৯২২টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক চার দশমিক ৭৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

আর লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৯৭ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার ৬১ কোটি ৩০ লাখ ৩৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৫৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর তিন দশমিক ৬২ শতাংশ কমেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর পাঁচ দশমিক ২৩ শতাংশ বা এক টাকা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৯ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। ওইদিন ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৯৭৮টি শেয়ার মোট এক হাজার ৩৪৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর সাত কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৬৩ টাকায় ওঠানামা করে।

৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ছয় শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৬৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪০ পয়সা।

এর আগে ৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি ছয় শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা দেয়। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২৮ পয়সা। এর আগের বছর একই সময় যা ছিল দুই টাকা ২৫ পয়সা। এছাড়া শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফ) ছিল দুই টাকা ৭৭ পয়সা এবং আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়ায় ২২ টাকা ১৮ টাকা।

কোম্পানিটি ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০২ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭১ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১০ কোটি ২৫ লাখ চার হাজার ৯০৮টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক সাত দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ১৮ দশমিক ৩০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৩ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির ৪৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ শেয়ার ৫৭ কোটি ২৮ লাখ ৫২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৩৮ শতাংশ।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্ধ বার্ষিকের (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০১৯) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৮৫ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৩০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা চার পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০১ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।