সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্যাংক খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত। ওই সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের ২১ শতাংশ অবদান রেখেছে এই খাত। এ খাতে প্রতিদিন গড়ে ২২১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এরপর আর্থিক খাত ১৫ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহে আর্থিক খাতে প্রতিদিন ১৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ-রসায়ন খাত। এই খাত ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ অবদান রয়েছে। এই খাতে প্রতিদিন ১৪১ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অন্য খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাত ১৩ শতাংশ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ ও বিবিধ খাত ৬ শতাংশ, সিমেন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত দুই শতাংশ করে অবদান রেখেছে। এছাড়া ভ্রমণ-অবকাশ, টেলিকমিউনিকেশন, ট্যানারি, সেবা-আবাসন, আইটি, সাধারণ বিমা ও সিরামিক খাতে এক শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৯ দশমিক পাঁচ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬ দশমিক সাত পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২৩ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৬ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১৩ দশমিক সাত পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৫ দশমিক ৯ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৬ দশমিক ৩ পয়েন্টে।
এছাড়া পাট খাতের পিই রেশিও মাইনাস ১৬ দশমিক ৭ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ৩২ দশমিক ৪ পয়েন্টে, এনবিএফআই খাতে ৩২ দশমিক ১ পয়েন্ট, কাগজ খাত মাইনাস ১১২ দশমিক ৩ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯ দশমিক ৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২৩ দশমিক দুই পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২৩ দশমিক ৭ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৯ দশমিক ৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২৬ দশমিক চার পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৯ দশমিক দুই পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে দর (রিটার্ন) বেড়েছে ১২ খাতের। বাকি আট খাতের দর কমেছে। সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সিরামিক খাতে। এই খাতে তিন দশমিক ৩২ শতাংশ দর বেড়েছে। এরপরে পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতে দুই দশমিক ৪৪ শতাংশ দর বেড়েছে। তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতে এক দশমিক ৬৬ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে দশমিক ৪৪ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে দশমিক ৬৭ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে দশমিক ২১ শতাংশ, পাট খাতে এক দশমিক ৪৩ শতাংশ, বিবিধ খাতে দশমিক ৫৪ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে এক দশমিক ৫৫ শতাংশ, আর্থিক খাতে দশমিক ১৫ শতাংশ, বস্ত্র খাতে দশমিক ৪৭ শতাংশ, ভ্রমণ-অবকাশ খাতে দুই দশমিক ১১ শতাংশ দর বেড়েছে।
এ সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে আইটি খাতে। এই খাতে দুই দশমিক ১৩ শতাংশ দর কমেছে। অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য-আনুষঙ্গিক খাতে দশমিক ৯৮ শতাংশ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে দশমিক ২৯ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ৩১ শতাংশ, সেবা-আবাসন খাতে ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ১ দশমিক ২৮ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে দশমিক ৩০ শতাংশ দর কমেছে।
ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সমন্বয় ও বেশিরভাগ ব্যাংক কোম্পানি মুনাফায় ফেরা। এই দুই কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এ খাতের শেয়ারের প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়ায় ব্যাংক শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।