নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি গত সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ২১ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষে অবস্থান করছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪১ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৩০ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩-মার্চ, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম তিন প্রান্তিকের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ১ টাকা ১৪ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২১ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ১২ টাকা ৯৪ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ১২ পয়সা।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাববছরে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ২৪ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১২ টাকা ৯৪ পয়সায়। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। ৩০ জুন তাদের শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯০ পয়সা এবং আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪১ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৫৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৫৫ পয়সা।
২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তাওফিকা ফুডস ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৮৫ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারসংখ্যা ৮ কোটি ৫০ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে রয়েছে ৪১ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে ১৯ দশমিক ১০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও ৩৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে লেনদেনে তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯১ শতাংশই ছিল এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা ৪ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৭৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫১৫টি শেয়ার মোট ১০ হাজার ১৫৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৯ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার টাকা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা ৬০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।