নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ২১ লাখ ৭১ হাজার ৪১৫টি শেয়ার ৫৮ কোটি ৫১ লাখ ৭৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ছয় দশমিক ৯৭ শতাংশ বা তিন টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫২ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৯০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
‘এ’ ক্যাটেগরির খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬০৪ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৮০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৫০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ২০ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ৪২ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৬ টাকা ৩১ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৫ টাকা ২০ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯২ পয়সা।
এদিকে সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ারের ৩৫ শতাংশ সাধারণ শেয়ার অধিগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। গত ২১ আগস্ট ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্টের উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। আর পটুয়াখালীতে অবস্থিত পায়রা পাওয়ার প্লান্টের ১৫০ মেঘাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
আর লেনদেনের দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির চার লাখ ৮১ হাজার ৮৮৬টি শেয়ার ৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের দুই দশমিক ৫৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৭১ শতাংশ বা ১৯ টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৭০০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭১৯ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৬৭১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭৪৩ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন এক লাখ ৩৭ হাজার ৬০১টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৪১৯ বার হাতবদল হয়। যার বাজার দর ১০ কোটি চার লাখ আট হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪৩ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৭৫৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৪৫ পয়সা।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে তিন টাকা ১০ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৭ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৩ টাকা ২৭ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ১৯ পয়সা।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪ টাকা ৯৬ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি এক লাখ ৯০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ১০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ছয় কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।