Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 1:52 am

সাপ্তাহিক লেনদেনের সাড়ে পাঁচ শতাংশ মুন্নু সিরামিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৭টি শেয়ার ১০৮ কোটি ৮৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৫২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর তিন দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে।
সপ্তাহের শেষদিনে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৯৩ শতাংশ বা চার টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২২১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২২২ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২১৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২২৪ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে ছয় লাখ ২৭ হাজার ৮৯০টি শেয়ার মোট চার হাজার ২১৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৩ কোটি ৮৫ লাখ ২১ হাজার টাকা। আর গত এক বছরে শেয়ারদর ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৪৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ১১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৯১ টাকা ৪৬ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে পাঁচ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
এর আগে ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা এবং এনএভি ৯৪ টাকা ৩২ পয়সা। এটি তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৯ পয়সা ও ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩২ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৯৭ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৪৭টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক শূন্য আট শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
লেনদেনে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৬টি শেয়ার ৯১ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১ দশমিক ৬২ শতাংশ কমেছে।
সপ্তাহের শেষদিনে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৮৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৩৮৮ টাকা ৭০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির মোট ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪৯টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৫৬৩ বার হাতবদল হয়, যার মোট মূল্য ছিল ৪৪ কোটি এক লাখ ২৯ হাজার টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৮১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৯০ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ২৬৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪২২ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কোম্পনিটি।
‘এ’ ক্যাটেগরির ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ৮০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৭৯ কোটি আট লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৪৫ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৪৭ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার একটি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ছয় দশমিক ৫৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং তিন দশমিক ৪২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ৩৩ দশমিক ৭৭ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২৪ দশমিক ১৭।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল মুন্নু জুট স্টাফলার্স লিমিটেড। কোম্পানিটির তিন লাখ ৭২ হাজার ৮৪১টি শেয়ার ৬৩ কোটি দুই লাখ ৯১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর পাঁচ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ এক হাজার ৭৭৫ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ৭৭৭ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ৭২ হাজার ৬১৮টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৮৫৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১২ কোটি ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ এক হাজার ৬৫৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৭৭৯ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৬৪১ টাকা ১০ পয়সা থেকে পাঁচ হাজার ৬৩৪ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ৩৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ৭৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৩০ পয়সা।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময়ে ইপিএস হয়েছে ৫৭ পয়সা ও এনএভি ৫২ টাকা ২৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা।
১৯৮২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন দুই কোটি সাত লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকা।