সাপ্তাহিক লেনদেনের ১২ শতাংশ রবি আজিয়াটার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এন’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৪৯ হাজার ৫১৭টি শেয়ার ৯৪১ কোটি ৪৭ লাখ ৫১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ২২ শতাংশ বা এক টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৬১ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৬১ টাকা ৭০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৬১ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৫ টাকা থেকে ৭৭ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

সম্প্রতি পুঁজিবাজারে আসা কোম্পানিটির ছয় হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন পাঁচ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ২৩৬ কোটি দুই লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৫টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের ৯০ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর দুই দশমিক ৪২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি সাত দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১০ কোটি ২৬ লাখ আট হাজার ২০৩টি শেয়ার ৮৩৩ কোটি ২৪ লাখ এক হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর চার দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৮৩ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৮৩ টাকা ৩০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৮২ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৯০ টাকায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ২৪৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৭৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫২ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল সামিট পাওয়ার লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৮ কোটি ২৬ লাখ ১৭ হাজার ৮৬৪টি শেয়ার ৪৫১ কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ছয় দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে।

আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে আট কোটি ৮৭ লাখ ২৯ হাজার ২৭৯টি শেয়ার ৩৯৩ কোটি ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর এক দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

আর পঞ্চম অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সপ্তাহজুড়ে এক কোটি ৮৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৫৩টি শেয়ার ৩৬০ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৬১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১