নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাট খাতের কোম্পানি সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ বা ৮ টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৩৩ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওই দিন কোম্পানিটির ৯ লাখ ১২ হাজার ৭৫১টি শেয়ার মোট ৭ হাজার ৯০৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছিল ৩০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর ২২২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৭৬৪ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
পাটশিল্প খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হযছ। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৮ লাখ ৪৮ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৭৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঁচ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার। এদিকে সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ ও ১০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮৬ পয়সা, ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১৮ টাকা ১৪ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৬ টাকা ৯৩ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৯২ পয়সা, ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২২৮ টাকা ৫৮ পয়সা। ওই সময় শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪৯ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীর জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৩ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২৫ টাকা ৬৫ পয়সা।
এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৮৬ পয়সা (ঘাটতি)। লেনদেনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ২৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৪ শতাংশ। গ্রামীণফোন লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ। সি পার্ল বীচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির দৈনিক গড়ে ১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির দৈনিক গড়ে ১৪ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৩১ শতাংশ। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ০৭ শতাংশ। দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ০৫ শতাংশ। এবং সোনালি পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।