নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের তৃতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির ১২ কোটি ৯৭ লাখ ২৪ হাজার ২৪১টি শেয়ার ১৬২ কোটি ৬৪ লাখ ১৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৪৪ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর আট দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে এক দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১২ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১২ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে দুই কোটি ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭২টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৬৭০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৬ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর সাত টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। চার হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬১৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৬১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে চার দশমিক ১১ শতাংশ, সরকারি ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩৫ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত ছয় দশমিক ৭২ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১২ দশমিক ৭৩।
তালিকার প্রথম অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৪৮ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭১টি শেয়ার ২৩১ কোটি সাত লাখ ৬২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ৩১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ছয় দশমিক ১০ শতাংশ বেড়েছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির সাত কোটি এক লাখ ২৪ হাজার ৫৭টি শেয়ার ২২৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ১৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ছয় দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩২ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৩২ টাকা।
কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ২৬৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৭৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক ৫৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ১৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।