Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 7:15 pm

সাপ্তাহিক লেনদেনের ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ গ্রামীণফোনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকমিউনিকেশন খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেডের শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান সাত দশমিক ৮৩ শতাংশ।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ বা ২ টাকা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৭৭ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৭৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ৩৮৭ টাকায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ২২ লাখ ৪৪ হাজার ১৬৪টি শেয়ার মোট ১০ হাজার ৫৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৮৫ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অন্যদিকে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর ২২১ টাকা থেকে ৩৮৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় কমেছে। অন্যদিকে প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) জন্য অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন ১৬০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষিত এই লভ্যাংশের জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ আগস্ট ২০২৪।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৩৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ৮৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ২ টাকা ৪৬ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১৬
টাকা ২৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১৪ টাকা ৬২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে এক টাকা ৬৭ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ১৮ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৪৯ টাকা ৩৯ পয়সা।

এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৮ টাকা ৭ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২০ টাকা ১৫ পয়সা। কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪ হাজার ৫১০ কোটি ১ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৩৫ কোটি তিন লাখ ২২টি শেয়ার রয়েছে।

কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। যা আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির মোট মুনাফার ৫১ দশমিক ০৩ শতাংশ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৩৯ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৪ টাকা ৮৮ পয়সা।