নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ৭ দশমিক ১২ শতাংশ। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ২ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ১ টাকা ৬০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯৩টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৬৬৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৫ হাজার কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৭৬৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ৪ হাজার ৪৯৯ কোটি ৬ লাখ টাকা। তাদের মোট শেয়ারসংখ্যা ১৭৬ কোটি ৯৭ লাখ ১২ হাজার ১৪৯টি। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৬ দশমিক ১৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩২ দশমিক ১১ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির পর্ষদ। আলোচ্য হিসাববছরে ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা হয়েছে ৮২৭ কোটি টাকা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৬১৪ কোটি টাকা। সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের হিসাববছরে যা ছিল ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৩৬ পয়সা, আগের হিসাববছর শেষে যা ছিল ৩৮ টাকা ৩ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ এবং সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৮৬ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৫ টাকা ১৪ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসম্বের সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ এবং সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৯৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা আট পয়সা। লেনদেনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা গ্রামীণফোন লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ৩৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির দৈনিক গড়ে ৩১ কোটি ১৯ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সোনালি আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দৈনিক গড়ে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির দৈনিক গড়ে ২০ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। দি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির দৈনিক গড়ে ১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার লেনদেন হয় এবং মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ।