নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির দুই কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৬টি শেয়ার ৩৮১ কোটি ৪৬ লাখ ৫২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বা এক টাকা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩৪ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৩৫ টাকা ৫০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৩৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ২৫৩টি শেয়ার মোট ছয় হাজার ৬৯ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ৯৫ কোটি ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৫২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১৩৮ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ২৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট ৪০ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩১ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী ৩৩ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ৬৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা ১২ পয়সা। ওই সময় নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ৬৭ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজন করা হয়েছে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ নভেম্বর।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে সাত টাকা ৪৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ৯৬ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিমা খাতের কোম্পানি এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির এক কোটি ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫টি শেয়ার ১২৮ কোটি ছয় লাখ ৩৭ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক শূন্য তিন শতাংশ।