Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 12:03 pm

সাপ্তাহিক লেনদেনের ৯.২৫% বেক্সিমকোর

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বিবিধ খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো)। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩৯ লাখ আট হাজার ৬৫৯টি শেয়ার ৫৯৯ কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর এক দশমিক শূন্য এক শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক শূন্য সাত শতাংশ বা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৪৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫২ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৬০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ১৮৭ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠানামা করে।

এদিকে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে সাত টাকা ৫৩ পয়সা। আর ৩০ জুন ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা ২৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা লোকসান।

এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪ পয়সা। অর্থাৎ, ইপিএস বেড়েছে তিন টাকা ৯৭ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা ৪২ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৪ পয়সা।

সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ২৯৩ দশমিক ৯২। এবং অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৯ দশমিক ১২।

‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭৬ কোটি ৩১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ২৪৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৮৭ কোটি ৬৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৭৯ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ১৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ২৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৯ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার।

আর লেনদেনের এ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির তিন কোটি ৯১ লাখ ৮১ হাজার ৭৯৫টি শেয়ার ৩৪২ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ২৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৪৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৯ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১০৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১০৪ টাকা ৬০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ৭৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৭৬ লাখ ১৯ হাজার ৪৫৮টি শেয়ার মোট ছয় হাজার ৭০২ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৯৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০৪ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।