সাপ্তাহিক লেনদেন অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিমা খাতের কোম্পানি অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছয় কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে এক টাকা ৭৭ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৭ টাকা ৭২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে চার কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা তিন টাকা ১০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে ১২ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭টি শেয়ার মোট ৫১৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর চার কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩২ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৪৫ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৮ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৯ কোটি ৮১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৮৮ লাখ চার হাজার ৪৬৪টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৩৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৩০ দশমিক দুই শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩১ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৯ কোটি চার লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ১৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকার শেয়ার।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির ৯ কোটি দুই লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৩৫৬টি শেয়ার মোট তিন হাজার ২৫ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে এক দশমিক ৫২ শতাংশ বা পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৬৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৬৮ টাকা ৮০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৬৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৯০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৭৫ টাকা থেকে ৫০০ টাকা ১০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট এক কোটি ১০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪৯ দশমিক ৩১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক তিন দশমিক ৮৬ শতাংশ, বিদেশি ১১ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৫ দশমিক এক শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির ১৬ কোটি ২৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে চার লাখ ৫২ হাজার ৫২৪টি শেয়ার মোট চার হাজার ১২ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে তিন দশমিক ২৩ শতাংশ বা ১১ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৫৩ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৫৫ টাকা ৮০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৫৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১২৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৪৪৯ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময় ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ১১ পয়সা এবং এনএভি ৯১ টাকা ৪৬ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ১১ পয়সা ও ৯৪ টাকা ৩২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে পাঁচ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।

‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাতে ১৬৮ দশমিক ৬৩ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ২১ দশমিক ৮৮। ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩২ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৯৭ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে কে অ্যান্ড কিউ (বাংলাদেশ) লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৪৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১৮৩ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার।

তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে সাত দশমিক ৪৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ৬০ লাখ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার।

তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে আইসিবি এমপ্লয়ী প্রভিডেন্ট মিউচুয়াল ফান্ড ওয়ান: স্কিম ওয়ান, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি লিমিটেড, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেডে, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স  লিমিটেড ও এটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০