তাপস কুমার, নাটোর: নাটোরের সিংড়া উপজেলায় চলনবিলের মধ্যে ডাহিয়া গ্রাম। চারিদিকে থৈ-থৈ পানি। গ্রামের একপ্রান্তে ডাহিয়া পিজিডি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের মাটির ঘরে সাপ আতঙ্ক নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বন্যায় চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলার ৩০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে একশটি পানিতে নিমজ্জিত হয়। তবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকলেও ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু চলনবিলের দ্বীপগ্রাম ডাহিয়ার চারিদিকে থৈ-থৈ পানি। এ কারণে গ্রামে সাপের উপদ্রব বেশি। ডাহিয়া পিজিডি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাটির ঘরে ইঁদুরের গর্তে আশ্রয় নিয়েছে সাপ। এ কারণে ক্লাস চলাকালে প্রায়ই গর্ত থেকে বের হয় সাপ। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক। সাপ চলে যাওয়া অথবা মেরে ফেলার পর আবার ক্লাস শুরু হয়। এবার বন্যার পানি প্রবেশের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের সাপ আতঙ্ক নিয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা মাটির ঘরের ইঁদুরের গর্তে প্রায়ই সাপ দেখতে পায়। ক্লাসের সময় ভয়ে তারা কখনও কখনও পা বেঞ্চে উঠিয়ে রাখে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল আলিম ও মুনিরা খাতুন জানায়, সাপ দেখা গেলেও এখনও কাউকে সাপে কাটেনি। তারা প্রায় এক মাস ধরে সাপ আতঙ্ক নিয়েই ক্লাস করছে।
বিদ্যালয়ের সহাকারী শিক্ষক সেলিনা খাতুন জানান, ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটিতে একটি পাকা ভবন থাকলেও তাতে দুটি শ্রেণির বেশি ক্লাস নেওয়া যায় না। ফলে মাটির ঘরেই ক্লাস নিতে হয়। প্রতি বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব বাড়ে। এর পরও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মতিতেই ক্লাস চালু রয়েছে।
Add Comment