ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপদ নয় নারী। সবখানেই রয়েছে তার বিপদ। দেশ-কাল-পাত্র ভেদে সবখানে সমান এ সমস্যা। বিশেষ করে কম-বেশি শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয় নারীরা সব দেশে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা, গণপরিবহন, হাসপাতাল, কর্মক্ষেত্র প্রায় সবখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের নির্যাতনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেওয়ার জন্য একটি অ্যাপ চালু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। অ্যাপটির নাম ‘ক্যালিস্টো’।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জেসিকা ল্যাড। তিনি বলেন, এক বন্ধুর হাতে আমি নির্যাতিত হয়েছি। ওই দুর্ঘটনার এক বছর পর সিদ্ধান্ত নিই আমি অভিযোগ করব। কিন্তু দেখতে পাই অভিযোগ করা আরও বেশি যন্ত্রণাদায়ক। তিনি বলেন, আমাকে রক্ষা করার কথা প্রশাসনের। অথচ তারাই আমাকে বিশ্বাস করেনি। অভিজ্ঞতাটি খুবই হতাশাজনক। এজন্য ‘ক্যালিস্টো অ্যাপ’ বানিয়েছি। এর মাধ্যমে ছাত্রীরা যৌন হয়রানির ঘটনা অনলাইনে প্রকাশ করতে পারবে। এই অ্যাপে দিনক্ষণ দিয়ে কি ঘটেছিল খুব সহজে বর্ণনা করতে পারবে।
অনলাইনে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করতে পারবে। যে কোনো ঘটনাকে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবে।
ক্যালিস্টো ঘটনাগুলো ধরে রাখে। পরে মিল খুঁজে পেলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে। এখানে শুধু শনাক্তকারীর নামসহ নানা ধরনের তথ্য দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফেসবুক প্রোফাইলও ব্যবহার করা হয় মিল খোঁজার জন্য।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় এই ক্যালিস্টো অ্যাপ ব্যবহার করছে। ইউনিভার্সিটি অব সানফ্র্যান্সিসকো প্রথম এটি ব্যবহার করা শুরু করে। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী বলেন, এটা যে কোনো সময় ব্যবহার করা যায়।