সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবে এসকোয়্যার নিট

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি এসকোয়্যার নিট কম্পোজিট পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত এক সভায় সাবসিডিয়ারি একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। ‘এল এসকোয়্যার লিমিটেড’ নামের ওই সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে পাঁচ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে এসকোয়্যার নিট কম্পোজিট পিএলসি। এ বিনিয়োগটি একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে মাদার কোম্পানির অব্যাহত বিনিয়োগের অংশ; যা কিনা আসন্ন রপ্তানির সুযোগ তৈরি করবে এবং কোম্পানির জন্য মুনাফা এনে দেবে। এর আগে ইমপ্রেস ক্যাপিটাল লিমিটেড নামের অন্য এক সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল এসকোয়্যার নিট কম্পোজিট পিএলসি। তবে ইমপ্রেস ক্যাপিটাল লিমিটেডে বিনিয়োগকৃত অর্থ থেকে পাঁচ কোটি টাকা প্রত্যাহার করবে এসকোয়্যার নিট কম্পোজিট এবং সেই প্রত্যাহারকৃত অর্থই ‘এল এসকোয়্যার লিমিটেড’-এ বিনিয়োগ করবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটি। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৩৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৫ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৫ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৮ হাজার ৩৯১টি শেয়ার মোট ৬১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। অন্যদিকে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৪ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৯ পয়সা (লোকসান), আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৮১ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির  শেয়ারপ্রতি লোকসান ২২ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জুলাই, -ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা (লোকসান), আগের হিসাববছরের একই সময়ে যা ছিল ৫১ পয়সা (লোকসান)। সে হিসেবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ৫৯ পয়সা বেড়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ২০ পয়সা (পুনর্মূল্যায়ন রিজার্ভসহ)। আর প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭৪ পয়সা (ঘাটতি)।

এদিকে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত) দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৬৩ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৩৭ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৮৫ পয়সা (ঘাটতি)।

এর আগের হিসাববছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরেও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল বস্ত্র খাতের এই কোম্পানিটি। সে সময়ে তাদের ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ৩৬ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৬৫ টাকা ২১ পয়সা। আর তখন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছিল ৩ টাকা ১১ পয়সা। অন্যদিকে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছিল ২ টাকা ২০ পয়সা এবং ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৬৪ টাকা ১৭ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০