নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি পর্ষদ।
জানা গেছে, ‘স্কয়ার লাইফসাইন্সেস লিমিটেড’ নামে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কয়ার ফার্মার পরিচালনা পর্ষদ। প্রস্তাবিত এ কোম্পানিটি ‘ওরাল সলিড ডোজেজ’ পণ্য উৎপাদন করবে। প্রস্তাবিত এ কোম্পানি গঠনে প্রাথমিকভাবে ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে, যা স্কয়ার ফার্মার নিজস্ব তহবিল কিংবা প্রস্তাবিত স্কয়ার লাইফসাইন্সেস লিমিটেডের উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে জোগান দেওয়া হবে। ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে স্কয়ার ফার্মার শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ বা এক টাকা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২০৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২০৬ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ছয় লাখ ২৩ হাজার ৪২৯ শেয়ার মোট দুই হাজার ৫৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৩ কোটি ৮৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২০৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে ২১১ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৬১ টাকা থেকে ২৭৭ টাকা ৩০ পয়সায় ওঠানামা করে।
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪২ শতাংশ নগদ ও সাত শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৬ টাকা তিন পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৮৬ টাকা তিন পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৫ টাকা ৭১ পয়সা।
১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৪৪ কোটি ২৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৭৪৪ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৩৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ১৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।