শেয়ার বিজ ডেস্ক: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা এবং দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে নিকারাগুয়া, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও এল সালভাদরের ৩৯ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নিকারাগুয়ার ১৩ জন, গুয়াতেমালার ১০ জন, হন্ডুরাসের ১০ জন ও এল সালভাদরের ৬ জনের নাম রয়েছে।
গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উঠে এসেছে। ‘সেকশন ৩৫৩ করাপশন অ্যান্ড আনডেমোক্রেটিক অ্যাক্টরস রিপোর্ট ২০২৩’ নামের এই প্রতিবেদনটি মার্কিন কংগ্রেসে দেয়া হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এমন ব্যক্তিরা রয়েছেন, যারা জেনেশুনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেন, এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন এবং যারা উল্লেখযোগ্য দুর্নীতি করেছেন বা দুর্নীতির তদন্তে বাধা সৃষ্টির কাজে লিপ্ত হয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞায় পড়া ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে কারও ইতোমধ্যে মার্কিন ভিসা থাকলে তা বাতিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত এল সালভাদরে ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে জড়িত অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাউরিসিও ফুনেস এবং সালভাদর সানচেজের ওপর।
গুয়াতেমালায় ‘গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ জড়িত অভিযোগে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন বিচারক এবং সাবেক ও বর্তমান প্রসিকিউটর। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গেন্ড্রি রোকায়েল রেয়েসের ওপরও।
হন্ডুরাসে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন, এল প্রোগ্রেসো শহরের বর্তমান
মেয়র আলেকজান্ডার লোপেজ, একজন সংসদ সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইদনা ইয়োলানি এবং প্রধান রাজনৈতিক দলের সভাপতি ইয়ানি বেঞ্জামিন।
নিকারাগুয়ায় বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল, জাতীয় পরিষদের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফার্স্ট সেক্রেটারি, থার্ড সেক্রেটারি, আপিল কোর্টের বিচারকসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্বের ৯টি দেশের ৪০ জনের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। সেই তালিকায়ও ছিল এল সালভাদর ও গুয়েতেমালা। আরও ছিল উত্তর কোরিয়া, গিনি, ইরান, মালি, ফিলিপাইন, রাশিয়া ও চীন। বিশ্বব্যাপী দুর্নীতিবাজ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ২০২২ সালে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এর অংশ হিসেবে আলবেনিয়া, বসনিয়া, মন্তেনেগ্রো, কসোভো, উত্তর মেসেডোনিয়া, সার্বিয়া, বেলারুশ, লাইবেরিয়া, গুয়েতেমালা, রাশিয়া, মিয়ানমার এবং ইরানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর বছরব্যাপী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।