সাবেক মেয়রসহ ৫ আসামি কারাগারে

প্রতিনিধি, কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন সিকদার হত্যা মামলায় পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজমসহ পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেনÑসাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তার দুই ভাই মৌলভি জহির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন এবং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম ও মো. ইব্রাহিম। বিকালে প্রিজনভ্যানে করে আসামিদের কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি সুলতানুল আলম বলেন, যুক্তিতর্ক শেষে আদালত গতকাল রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন। তবে ষষ্ঠবারের মতো রায় ঘোষণার তারিখ পেছাল। আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এ মামলার ১৬ জন আসামি। তারা সবাই জামিনে ছিলেন। তবে তাদের মধ্যে পাঁচজন আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ মামলার মোট আসামি ২৬ জন। এ মামলা চলার সময়ে সাতজন আসামি মারা গেছেন। এ ছাড়া দুজন পলাতক। ২৪ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

মারা যাওয়া আসামিদের মধ্যে আছেনÑমহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, স্থানীয় বাসিন্দা রহিম সিকদার, আমির হোসেন ও আজিজুল হক। এদিকে মামলার দুই আসামি জহির উদ্দিন ও মো. ইব্রাহিম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য ও তরুণ রাজনীতিক খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)। তিনি গোরকঘাটার হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। ওইদিন নিহত খাইরুল আমিনের বড় ভাই মাহমুদুল করিম বাদী হয়ে থানায় মহেশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, পুটিবিলার শামশুল আলম, নাসির উদ্দিন, হামিদুল হকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ওই বছরের ২২ নভেম্বর।

২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০